জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা কোন দলের বিরুদ্ধে কথা বলি না, আমরা বলি পুরোনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারা মাফিয়া সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখতে চায়, চাঁদাবাজিকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদেরকে জনগণ আর তাদেরকে মেনে নিবে না। এই তরুণ প্রজন্ম কোন নির্বাচনী ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না। আমরা বলেছি রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পুনঃগঠন করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পুনঃগঠন হলে, আপনাদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। আপনারা সে দরজায় প্রবেশ না করে, এখনও যদি সংস্কারের পক্ষে না আসেন, পুরোনো বন্দোবস্ত সংরক্ষন করেন, চাঁদাবাজ, মাফিয়া ও দূর্নীতির রাজনীতি যদি টিকিয়ে রাখতে চান। জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে কেন নামছে, আপনারা কি দেখছেন তা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররা আবারও রাজপথে নামছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২ তম দিনে বাগেরহাট রেল রোডস্থ জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আবিদ, এনসিপি বাগেরহাটের প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দ মোরশেদ আনোয়ার প্রমুখ।
এ সময়, এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, মূখ্য সমন্বয়ক নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ড. মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় যুগ্ন মুখ্য সংগঠক মোল্যা রহমাতুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বয়ক তাজনুভা জাবিন, বাগেরহাটের যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ শফিউল্লাহ, আবিদ আহমেদ, জেলা সদস্য -লাবীব আহমেদ,অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল বাকিসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা গনঅভ্যুথ্যান করেছিলাম মাফিয়া, দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ সিস্টেমের বিরুদ্ধে। এই চাঁদাবাজ দূর্নীতি এখনও বিতাড়িত করতে পারি নাই। তাই আবারও এসেছি, আপনারা আমাদের উপর আস্থা রাখুন। এই চাঁদাবাজ ও দূর্নীতিবাজ সিস্টেমের পরিবর্তন করব, শহীদদের প্রতি এইটা আমাদের কমিটমেন্ট। জুলাই সনদ অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। সেটা জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যেই হতে হবে।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, পুলিশ-প্রশাসনকে জনগনের পক্ষে দাড়াতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে। যদি তারা দলবাজ প্রশাসনের মত আচরণ করে, তাহলে মনে রাখবেন ফ্যাসিবাদের সময় যারা দলবাজ হয়েছিল, তাদের পরিনতি ও আপনাদের পরিনতি একই হবে।
এর আগে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই আন্দোলনে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সাথে দেখা করেন। তাদের খোজ খবর নেন। এদিন বিকেলে রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজার এলাকায় পথসভায় অংশগ্রহন করেন এনসিপির নেতারা। সেখানে বক্তব্য দেন, সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন, মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ। সন্ধ্যায় বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পথসভার আগে বাগেরহাট শহরে এনসিপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশগ্রহন করেন। পথসভা শেষে পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে বাগেরহাট ছাড়েন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
খুলনা গেজেট/এসএস